বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ময়মনসিংহ শেরপুরের প্রধান সড়ক থেকে ৫০০ গজ উত্তর পশ্চিমে শ্যামল-সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত। কলেজের দক্ষিণ পার্শের রাস্তা এবং রাস্তার দক্ষিণে মৃতপ্রায় রাংসা নদী যা কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে কিছুটা খরস্রোতা ছিল। এলাকার অবহেলিত শিক্ষায় পিছিয়ে পরা লোকদের কথা ভেবে ১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহ ২ আসন থেকে পর পর ৫ বার নির্বাচিত মরহুম শামসুল হক এমপি এলাকার লোকদের সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠা করেন অত্র বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ। ০১/০৭/১৯৭৩ ইং হতে অত্র কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। মরহুম শামসুল হক এমপির পাশাপাশি এলাকার যে সকল ব্যাক্তি অর্থ ও জমি দিয়ে সহযোগীতা করেছেন তারা হলেন স্বর্গীয় নির্মল চন্দ্র সরকার, মরহুম ডাঃ ছাত্তার তালুকদার, জমিদাতা মোঃ রহিম উদ্দিন, লাকজান বেওয়া, মোঃ রশিদ মন্ডল, মোঃ ইসমাঈল হোসেন মন্ডল, মরহুম আব্দুল গফুর মন্ডল। তৎকালীন সময়ে প্রধান সড়কের কাছে কলেজের গেইট নির্মাণে অধ্যাপক সুজিত কুমার চক্রবর্তী উল্লেযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ১৫-০১-১৯৯৩ সালে কলেজের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব নাছির উদ্দিন খান। ঐ সময়ে মরহুম শামসুল হক এম,পির একান্ত সহযোগিতায় (১৯৯৯) সালে সরকারি অনুদানে কলেজে একটি দুতলা ভবননির্মাণ হয় এবং ডিগ্রী পর্যায়ে বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। কলেজটি সম্মুখের দিকে এগুতে থাকে কিন্তু ২০০৯ সালে কলেজটির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। সেই সময়ে কলেজের হাল ধরেন মরহুম শামসুল হক এমপির সুযোগ্য সন্তান জনাব সাজ্জাদ আহম্মেদ, কলেজটির উন্নয়ন আবারো শুরু হতে থাকে। অধ্যক্ষ সাজ্জাদ আহমেদের চেষ্টায় কলেজের শিক্ষার গুণগত মানউন্নয়নের পাশাপাশি কলেজের নিজস্ব অর্থায়ণে বাউন্ডরী ওয়ালসহ অনেক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় । বর্তমানে অত্র কলেজটি একটি পুর্ণাঙ্গ ডিগ্রী কলেজ। বর্তমানে কলেজে একটি টিনসেট বিল্ডিং ১১,১৫০ বর্গফুট আরেকটি ৯,১৫০ বর্গফুট (রুম সংখ্যা = ৬) এবং দুতলা বিল্ডিং ১০,১৫০ বর্গফুট (রুম = ৯) রয়েছে। কলেজের চারদিকে বাউন্ডারী ওয়ালসহ কলেজ ক্যাম্পাসে একটি পুকুর ও মসজিদ রয়েছে।
অত্র কলেজ ক্যাম্পাসে একটি সুদৃশ্য মসজিদ রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন কলেজ গেইট এবং মসজিদের মাঝে অএ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শামসুল হক এম.পি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। কলেজের চারদিকে বাউন্ডারী ওয়াল রয়েছে ।